Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
গয়হাটা ইউনিয়নের বনগ্রামের গণকবর
স্থান

গয়হাটা ইউনিয়নে অবস্থিত বনগ্রাম গণকবর

কিভাবে যাওয়া যায়

নাগরপুর সদর হতে গয়হাটা ইউনিয়ন পরিষদ পারি দিয়ে বনগ্রাম গণকবর স্থানে যাওয়া যায় (যেকোন গাড়ী যোগে)।

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

১৯৭১ সাল। গয়হাটা ইউনিয়নের বনগ্রাম, চারদিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জঙ্গলে ঘেরা একটি গ্রাম সম্ভবতঃ গেরিলা যুদ্ধের কৌশলগত কারনেই মুক্তিসেনারা এমন জায়গাটি বেছে নিয়েছিল। বনগ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল মুক্তিসেনাদের মুল প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। এখান থেকেই পাক হানাদারদের বিভিন্ন চৌকি বা ঘাটিতে মুক্তিসেনারা সফল আক্রমন চালাত। কিন্তু এলাকার কিছু স্বাধীনতা বিরোধীদের কারণে বিষয়টি এক সময়ে টের পেয়ে যায় নাগরপুরে অবস্থানকারী পাকবাহিনীরা। ২৫ অক্টোবর আনুমানিক বেলা ৯/১০ টার দিকে সর্ম্পণ আকষ্মিকভাবে পাক বাহিনীরা বনগ্রামের মুক্তিসেনার ঘাটিসহ সাধারণ মানুষের উপর আক্রমন করে এবং এক পর্যায়ে মুক্তিসেনাদের সর্বাত্নক প্রতিরোধের মুখে কিছুটা পিছু হটে গিয়েই খুব দ্রুত তারা সিরাজগঞ্জে অবস্থানকারী পাকবাহিনীর সহায়তায় বনগ্রামকে সম্পূণ গুড়িয়ে দেওয়ার যুদ্ধে অবতীণ হয়। যুদ্ধে প্রায় ৭৬ জন সাধারণ মানুষ ও মুক্তিসেনা শহীদ হয়, পুড়িয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘর বাড়ী। গ্রামবাসীরা নিহতদের একত্রিত করে এক জায়গায় তাঁদের দাফন করে। আর এই স্মৃতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরবর্তী প্রজন্মকে আলোড়িত করার জন্যে এখানে গড়ে উঠে এই গণকবর স্মৃতিসৌধ।