Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
উপেন্দ্র সরোবর(দিঘি)
স্থান

নাগরপুর উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ এরিয়া অবস্থিত উপেন্দ্র সরোবার (দিঘি)

কিভাবে যাওয়া যায়

সকল প্রকার গাড়ী যোগে নাগরপুর এই উপেন্দ্র সরোবরে ( দিঘি) যাওয়া যায়। নাগরপুর সদর থেকে ১.০০মি.মি. দক্ষিণে টাঙ্গাইল-আরিচা রোর্ডের পূর্ব পাশে অবস্থিত।

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

বিশেষ কিছু ব্যতিক্রম ব্যতিরেকে সাধারণভাবে বিভিন্ন জায়গার নামকরণ বিশেষতঃ প্রাচীন ধারণা থেকে হয়ে থাকে। এর আধুনিক যুক্তি স্বীকৃত কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণও পাওয়া যায়না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লোক কথাবাজন শ্রুতির উপর নির্ভর করতে হয়। নাগরপুরের নামকরণ নিয়েও একাধিক লোক- কাহিনী বাজন শ্রুতি প্রচলিত। প্রমত্তা যমুনা-ধলেশ্বরী বেষ্টিত একব’ দ্বীপ বিশেষ এই নাগরপুর। জনশ্রুতি এই- সুলতান মাহমুদশাহ’র শাসন আমলে নাগরপুরের মামুদনগর ছিল তাঁর রাজধানী। এখানে তাঁর একটি বিশাল এক নৌঘাটি ছিল। শোনা যায় বিদেশী আক্রমনের হাত থেকে এই অঞ্চলকে রক্ষা করার জন্যেই সম্রাট।


মাহমুদশাহ এই নৌঘাটি নির্মাণ করে ছিলেন। মামুদনগরে এখনো শেরশাহ-রজঙ্গল, মতিবিবি রিবাগ এবং ১০১ টি পুকুরের অস্তিত্ব আঁচ করা যায়। কথিত আছে একরাতেই পুকুরগুলো খনন করা হয়েছিল। একসময় বর্তমান চৌহালীর পূর্বাংশ- নাগরপুর এবং দৌলতপুরের অংশবিশেষেসহ পুরো এলাকা ছিল নদী এলাকা। কালের বিবর্তনে এই এলাকা চর এলাকায় রূপ নেয়। চর অঞ্চল হলেও জনপদ সৃষ্টির পূর্বে এখানে প্রচুর বনজঙ্গল ছিল। জঙ্গলে বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপ থাকত। সাপগুলো বিভিন্ন নাগ- নাগিনী নামে পরিচিত ছিল। বিষাক্ত সাপের ভয়ে ভীত থাকত সবাই। মানুষ একা চলতে সাহস করত না। সবসময়ই দলবদ্ধ ভাবে চলাচল করত। এই সময় ভারতে পুরী থেকে ‘‘ নাগরমিয়া’’ নামে একবৃদ্ধ এই এলাকায় আসেন। শোনা যায় তিনি ছিলেন অবিবাহিত। এবং প্রকৃত প্রেমিক। সাপ বা সরীসৃপ নিয়েই তিনি জীবন যাপন করতে ভালবাসেন। এই ভালবাসার সূত্রধরেই ভারতের পুরী থেকে একে একে তার অনেক অনুসারীরা আসতে থাকল এবংএকসময় এঅঞ্চল মানুষের জন্যে ভয় থেকে অভয়ের অঞ্চল হয়ে উঠল। আর এভাবেই নাগরে-নাগরে পূর্ণ হয়ে এলাকার নাম হলো নাগরপুর। অবশ্য এর ভিন্নমতও দেখা যায়।