Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী
স্থান
নাগরপুর মহিলা কলেজ, নাগরপুর, টাঙ্গাইল।
কিভাবে যাওয়া যায়
নাগরপুর বাজার থেকে হাসপাতাল রোডে নাগরপুর মহিলা কলেজ
বিস্তারিত

ঊনবিংশ শতাব্দী। ইতিহাস থেকে যতদুর জানা যায়- সুবিন্ধা-খাঁ-র সূত্র ধরেই চৌধুরী বংশু নাগরপুরে জমিদারী শুরু করেন। চৌধুরী বংশের প্রথম পুরুষ যদুনাথ চৌধুরী। প্রায় ৫৪ একর জমির উপর জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন। বৃটিশ সরকার উপেন্দ্র মোহন চৌধুরীর বড় ছেলে সতীশ চন্দ্র রায় চৌধুরীকে সাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্যে বিভিন্ন মুখীন সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ রায় বাহাদুর খেতাবে ভুষিত করে। ছোট ছেলে সুরেশ চন্দ্র রায় চৌধুরী অপেক্ষাকৃত পাশ্বাত্য সংস্কৃতিঘেষা। তিনি ছিলেন অনেকের চেয়ে সৌখিন প্রকৃতির মানুষ। এই বৈঠকখানাই ছিল তাঁর মুল আড্ডাখানা। তিনি ছিলেন খুব ক্রীড়ামোদী। উপ-মহাদেশের বিখ্যাত ফুটবল দল ইষ্ট বেঙ্গল ক্লাবের তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী। পাশ্চত্য এবং মোঘল সংস্কৃতির মিশ্রনে এক অপূর্ব নান্ননিক সৌন্দয্যে নির্মিত এই বৈঠকখানা বিল্ডিং এর উপরে ছিল নহবতখানা।

 

সেখানে থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রতিদিন ভোর সকালে সানাই-এর ভৈরবী ধ্বনীতে চৌধুরী বংশের তথা এলাকার প্রজাবৃন্দের ঘুম ভাঙ্গত। শোনা যায় বাহাদুরের ছোট ভাই সুরেশ চৌধুরীকে নাগরপুরে রেখে সম্পূণ রাজধানী কলকাতার আদলে নাগরপুরকে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। চৌধুরী বাড়ীর রঙ্গমহলের পাশে এক  সুদৃশ্য চিড়িয়াখানা ছিল। সেখানে শোভা পেত-ময়ুর, কাকাতোয়া, হরিণ, ময়না আর শেষ দিকে সৌখিনর সুরেশ চৌদুরীর ইচ্ছায় চিড়িয়াখানায় স্থান করে নিল বাঘ( কেতকী) এবং সিংহ (দ্যুতি)। ১৯৪৭ এর দেশ বিভক্তির পর এক সময় তদানিন্তন সরকার চৌধুরী বাড়ীর সকল সম্পদ অধিগ্রহণ করে। বতমানে চৌধুরী বাড়ীর এই মুল ভবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নাগরপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ।